Header Ads

Header ADS

Capacitors Explained - The basics how capacitors work working principle. ক্যাপাসিটররা কিভাবে কাজ করে তার মূল বিষয়।

 ক্যাপাসিটর বা কনডেন্সার

 


 

দুটি পরিবাহী ( ধাতব পাত ) ও মধ্যে একটি ইনসুলেটর ( অপরিবাহী ) দ্বারা কনডেন্সার তৈরী হয়। কনডেন্সার বা ক্যাপাসিটরের বিদ্যুৎ ধরে রাখার ক্ষমতা ( ক্যাপাসিটি ) আছে। এই ধর্মকে ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিটেন্স বলে। 
ক্যাপাসিটরের মূল কাজগুলো বলা হলো 
১) ক্যাপাসিটর বিদ্যুৎ জমা করে রাখতে পারে। ক্যাপাসিটরের এই বিদ্যুৎ জমা করার ব্যাপারটাকে চার্জিং বলে। 
২ ) ক্যাপাসিটার জমা করে রাখা বিদ্যুৎকে ছেড়ে দিতে পারে বা মুক্ত ( রিলিজ ) করে দিতে পারে। ক্যাপাসিটরের বিদ্যুৎ মুক্ত করে দেওয়ার ব্যাপারটাকে বলা হয় ডিসচার্জিং । 
৩ ) ক্যাপাসিটর অল্টারনেটিং কারেন্টকে ( এ,সি,-কে  ) যেতে দেয় বা বাইপাস করে। বেশি ফ্রিকোয়েন্সির এ,সি, কম ভ্যালুর ক্যাপাসিটরে এবং কম ফ্রিকোয়েন্সির এ,সি, বেশি ভ্যালুর ক্যাপাসিটরের মধ্যে দিয়ে বাইপাস করতে পারে। 
৪ ) ক্যাপাসিটর ডাইরেক্ট কারেন্টকে যেতে দেয় না, বা ডি,সি, কে ব্লক করে। একটি ক্যাপাসিটর কত পরিমান বিদ্যুৎ জমা করে রাখতে পারবে তা নির্ভর করে তার ( ক্যাপাসিটরটির ) মানের ( ভ্যালুর )  উপর। ক্যাপাসিটরের মান পরিমাপের একক হলো ফ্যারাড। ফ্যারাড এককটি খুব বড় তাই একে কিছু ছোট ছোট এককে ভেঙে ক্যাপাসিটরের মান প্রকাশ করা হয়। যেমন : মাইক্রো ফ্যারাড ( mfd ) পিকো ফ্যারাড ( pf ) কিলো পিকো ফ্যারাড ( kpf ) ইত্যাদি। 
1 ফ্যারাড = 10,00,000  মাইক্রো ফ্যারাড, 1 মাইক্রো ফ্যারাড  = 1000 কিলো পিকো ফ্যারাড, 1 কিলো পিকো ফ্যারাড  = 1000 পিকো ফ্যারাড, কিলো পিকো ফ্যারাডকে অনেক সময় ন্যানো ফ্যারাড ও বলা হয়। কনডেন্সার এ,সি কে বাইপাস করে এবং ডি,সি কে ব্লক করে-- এই ঘটনা ঘটে এ,সি এবং ডি,সি--র ভিন্ন বৈশিষ্ট হওয়ার জন্য। যখন অল্টারনেটিং কারেন্ট ( এ,সি ) কোন কনডেন্সারের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন এ,সি--র বৈশিষ্ট অনুযায়ী ক্রমাগত তার দিক পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে কন্ডেনসারটি একবার চার্জিং এবং একবার ডিসচার্জিং হতে থাকে এবং যার ফল স্বরুপ ইলেকট্রন প্রবাহের দিকেরও প্ররিবর্তন হতে থাকে আর সেই কারেন্টই ( এ,সি ) কনডেন্সারের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। কিন্তু ডি,সি--র এই রকম দিক পরিবর্তন ধর্ম না থাকায় কনডেন্সারের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। তবে এক্ষেত্রে একটা কথা বলা উচিত যে কন্ডেন্সার এ,সি কে বাইপাস করলেও কিছু পরিমানে বাধা দেয় এবং এই বাধাপ্রদানকে "ক্যাপাসিটিভ রিয়্যাকটেন্স" বলা হয়। 
একটি ক্যাপাসিটরের চার্জিং পিরিয়ড---
যে কোন ক্যাপাসিটর তার মান অনুযায়ী কিছু পরিমান বিদ্যুৎ গ্রহণ করে ধরে রাখতে পারে। ক্যাপাসিটরের বিদ্যুৎ গ্রহণ করাকে চার্জিং এবং যত সময় নিয়ে ক্যাপাসিটরটি সম্পূর্ণ চার্জ হয় তাকে ক্যাপাসিটরের চার্জিং পিরিয়ড বলে। একটি ক্যাপাসিটরের দুই প্রান্তে ডাইরেক্ট কারেন্ট ( ডি,সি ) প্রয়োগ করলে ক্যাপাসিটরটি প্রথমে একটু তাড়াতাড়ি, তারপর ধীরে ধীরে চার্জ গ্রহণ করতে করতে এক সময়ে সম্পূর্ণ চার্জড হয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা উচিত ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরের চার্জ হওয়ার ক্ষমতা বেশি।
একটি ক্যাপাসিটরের ডিসচার্জিং পিরিয়ড---
যখন কোন চার্জড ক্যাপাসিটর তার সঞ্চিত তড়িৎ শক্তিকে মুক্ত করে দেয় এবং ক্যাপাসিটরের যতক্ষণ সময় ধরে ডিসচার্জিং হয় সেই সময়কে ক্যাপাসিটরের ডিসচার্জিং পিরিয়ড বলা হয়। একটি ফুল চার্জড ক্যাপাসিটরের মধ্যেকার দুটি প্রান্তের বিভব তখন প্রযুক্ত সার্কিটের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই সময় ক্যাপাসিটর সঞ্চিত বিদ্যুৎ ছেড়ে দিয়ে সম্পূর্ণ ডিসচার্জড বা চার্জ হীন হয়ে পড়ে। সাধারণ ভাবে একটি চার্জড ক্যাপাসিটরের দুটি প্রান্তকে ঠেকিয়ে দিয়ে বা একটি তারের দ্বারা শর্ট করলে ক্যাপাসিটরটি ডিসচার্জড হয়ে পড়ে। একটু আগে আমরা ক্যাপাসিটরের মান সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ক্যপাসিটরের মান কতকগুলি বৈশিষ্ঠের উপর নির্ভরশীল--
১) প্লেটের ক্ষেত্রফল-- প্লেটের ক্ষেত্রফলের উপর ক্যাপাসিটরের মান কম বেশি হয়।
২) প্লেটের সংখ্যা-- ক্যাপাসিটরের মধ্যের প্লেটগুলি বেশি সংখ্যায় থাকলে ক্যাপাসিটরের মান বৃদ্ধি পায়।
৩) প্লেটগুলির মধ্যে দূরত্ব-- ক্যাপাসিটরে ব্যাবহৃত বিভিন্ন প্লেটগুলির দূরত্ব যত বেশি হবে ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্স তত কম হবে। অন্যদিকে ক্যাপাসিটরের প্লেটগুলির দূরত্ব যত কম হবে ক্যাপাসিট্যান্স তত বেশি হবে। অর্থাৎ প্লেটের দূরত্ব ক্যাপাসিটরের সঙ্গে ব্যাস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয়।
৪) ডাই ইলেকট্রিক-- ক্যাপাসিটর তৈরির সময় প্লেটের মধ্যবর্তি স্থানে বায়ুর পরিবর্তে যদি ডাইইলেকট্রিক হিসাবে অন্য কিছু ব্যাবহার করা হয় তাহলে ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিটি বেড়ে যায়। 
ক্যাপাসিটরের প্রকার ভেদ
আকৃতিগত ও গঠনগত দিক থেকে কনডেন্সার প্রধানতঃ দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ফিক্সড কনডেন্সার  ও ভ্যারিয়েবল কনডেন্সার ।
ফিক্সড ক্যাপাসিটর ( Fixed Capacitor )-- যে সকল ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিটর ভ্যালু কোন ভাবেই পরিবর্তন করা যায় না তাদেরকে ফিক্সড ক্যাপাসিটর ( কনডেন্সার ) বলে। ফিক্সড কনডেন্সার আবার দু'প্রকার। যথা-- নন ইলেকট্রোলাইটিক কনডেন্সার এবং ইলেকট্রোলাইটিক কনডেন্সার। নীচে দু'জনার কাজ ও গঠনের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো---
নন ইলেকট্রোলাইটিক কনডেন্সার ( Non-Electrolytic Capacitor ) :- এই কনডেন্সারের কোন পজিটিভ বা নেগেটিভ দিক থাকে না। যে দিকে খুশি এর কানেকশান করা যায় এবং ভ্যালু ও ভোল্টেজ পেপার কনডেন্সারের গায়ে লেখা থাকে। নন ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর গুলো গঠনগত দিক থেকে অনেক রকম পদার্থ নিয়ে তৈরী হয়, যেমন-- পেপার, পলিয়েষ্টার, সিরামিক, গ্লাস, মাইকা ইত্যাদি।
১) পেপার ক্যাপাসিটর ( Paper Papacitor )-- দুটি পাতলা ধাতব স্তর ( ফয়েল ) এর মাঝখানে কাগজ দিয়ে এই ক্যাপাসিটর গঠিত হয়। সব শুদ্ধ গুটিয়ে ইনসুলেটিং কোটিং দিয়ে চ্যাপ্টা বা সিলিন্ডিক্যাল ( চোঙাকৃতি ) দেখতে হয়। দুটি ধাতব স্তর থেকে দুটি ধাতব লিড বেরিয়ে আসে। এই ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্স হয় 1 থেকে 2 𝞵f অবধি আর ওয়ার্কিং ভোলটেজ রেটিং 210 ভোল্ট অর্থাৎ এই ভোল্টেজ অবধি চালু থাকার ক্ষমতা থাকে। তবে সাধারণতঃ বিভিন্ন ভোল্টেজ রেটিং এর ক্যাপাসিটর পাওয়া যায়। এর মান খুব বেশি করতে গেলে এর আকৃতিও অসম্ভব বেড়ে যায়।
২) পলিয়েষ্টার ক্যাপাসিটর ( Polyester Capacitor )-- ঠিক একই পদ্ধতিতে তৈরী হয় পলিয়েষ্টার ক্যাপাসিটর। ডায়ালেক্টিক হিসাবে পলিয়েষ্টার ব্যাবহার করা হয় আর পুরোটা অবরুদ্ধ থাকেপ্লাষ্টিক ক্যাপসুলে।
৩) টেফলন এবং মাইলার ক্যাপাসিটর ( Teflon and Mylar Capacitor )-- সম্প্রতি পেপার এর বদলে ক্যাপাসিটর গুলোতে প্লাস্টিক ফিল্ম ব্যাবহৃত হয়। এই অতি পাতলা প্লাস্টিক ফিল্ম দু'ধরনের। খুব জনপ্রিয় একটি হল টেফলন ও দ্বিতীয়টি মাইলার। এগুলি পেপার ক্যাপাসিটরের মতই কাজ করে। কিন্তু এগুলি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না  অর্থাৎ এর জীবন দীর্ঘস্থায়ী।
৪) মাইকা ক্যাপাসিটর ( Mica Capacitor )-- এই ক্যাপাসিটরে ডাই ইলেকট্রিক হিসাবে মাইকা ব্যাবহৃত হয়। দুটি ধাতব পাতের মধ্যে মাইকার স্তর থাকে। এর মান সাধারণ 5 pf থেকে 55 pf  অবধি হয়। আজকালকার দিনে ট্রানজিষ্টর রেডিওতে ট্রিমার ব্যাবহৃত হয়। এই ট্রিমার একপ্রকার ভ্যারিয়েবল মাইকা ক্যাপাসিটর। মাইকা ক্যাপাসিটর আবার দুই ধরনের হয়।
১) ক্ল্যাম্প টাইপ ( Clamp Type ) 
২) বন্ডেড সিলভার টাইপ ( Bonded Silver Type )
ক্ল্যাম্প টাইপ মাইকা ক্যাপাসিটরে টিনের পাতলা পাতের উপর সিরামিকের আস্তরণ দেওয়া থাকে। টিনের পাতের সঙ্গে ইলেকট্রোড গুলি জোড়া থাকে। বন্ডেড সিলভার টাইপে শেষ দুটি প্লেট ছেড়ে প্রত্যেকটি মাইকা প্লেটের উপর কিছু অংশে সিলভারের আস্তরণ দেওয়া হয়। এরপর প্লেটগুলি একসাথে বিশেষ পদ্ধতিতে জোড়া লাগানো হয়।
৫) সিরামিক ক্যাপাসিটর ( Ceramic Capacitor )-- টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড ( Titanium Dioxide ) অথবা বেরিয়াম  টাইটানেট ( Barium Titanate ) সিরামিক ক্যাপাসিটরে ব্যাবহৃত হয়। এই ক্যাপাসিটরের মান 1 pf থেকে 500 kpf  অবধি হতে পারে আর সর্বাধিক ভোল্টেজ রেটিং হয় 1 K V অবধি। এগুলি আকৃতিতে ছোট এবং এর ক্যাপাসিট্যান্স অনেক বেশি হয়। এর ভোল্টেজ রেটিংও বেশি। পেপার কনডেন্সারে ভ্যালু এবং ভোল্টেজ দুইভাবে উল্লেখ থাকে। কখনও নির্দিষ্ট ভ্যালুটি কনডেন্সারের গায়ে লেখা থাকে, আবার কখনও বা তিনটি সংখ্যা কনডেন্সারের গায়ে লেখা থাকে। তার মাধ্যেমেই ভ্যালুটি নির্ণয় করে নিতে হয়। সেক্ষেত্রে তিনটি সংখ্যার প্রথম দুটিকে ঠিক রেখে তৃতীয় সংখ্যার সমসংখ্যাক শূন্য তার ডানদিকে বসাতে হবে। ফলে যে সংখ্যাটি পাওয়া যাবে তাই ওই কনডেন্সারের পি,এফ ( pf ) ভ্যালু হবে। আবার এই ( পি,এফ )  ভ্যালুকে দশ লক্ষ দিয়ে ভাগ করলে এম,এফ,ডি (mfd) ভ্যালু পাওয়া যাবে। যেমন ধরা যাক, কোন পেপার কনডেন্সারের গায়ে লেখা রয়েছে 502 সংখ্যাটি। এখানে প্রথম দুটি সংখ্যা (50) কে ঠিক রেখে তৃতীয় সংখ্যার (2) সমসংখ্যক শূন্য (০০) তার ডানপাশে লেখা হল। অথএব কনডেন্সারের ভ্যালুটি দাঁড়ালো (5000) পি,এফ আবার একে দশ লক্ষ দিয়ে ভাগ করলে কনডেন্সারটির ভ্যালু হবে (.005এম,এফ,ডি। এখানে এইরকম কয়েকটি পেপার কনডেন্সারের ভ্যালুর ( pf, kpf, and mfd ) তালিকা প্রকাশ করা হল। যেমন --
101= 10 x 10¹ = 100 pf = .0001 mfd 
102= 10 x 10² =1000 pf = 1 kpf =.001 mfd
103= 10 x 10³ = 10000 pf = 10 kpf = .01 mfd
104= 20 x 10⁴ = 100000 pf = 100 kpf =.1 mfd
202= 20 x 10² = 2000 pf = 2 kpf = .002 mfd
203= 20 x 10³ = 20000 pf = 20 kpf = .02 mfd
403= 40 x 10³ =40000 pf = 40 kpf = .04 mfd
501= 50 x 10 = 500 pf =.5 kpf = .0005 mfd
502= 50 x 10² = 5000 pf = 5  kpf = .005 mfd
503= 50 x 10³ = 50000 pf = 50 kpf = .05 mfd
4 k 7 or 4.7 = 4700 pf = .0047 mfd
কখনো কখনো কালার কোডের সাহায্যেও ভ্যালুর উল্লেখ থাকে।
ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর ( Electrolytic Capacitor )--- গঠনের দিক থেকে ইলেকট্রোলাইটিক কন্ডেনসার সাধারণত দুই ধরনের হয়। যথা ১) ড্ৰাই ইলেকট্রোলাইটিক কন্ডেনসার এবং ২) ওয়েট ইলেকট্রোলাইটিক কন্ডেনসার। ড্ৰাই ইলেকট্রোলাইটিক কন্ডেনসারগুলি আকারে ওয়েট ইলেকট্রোলাইটিক কনডেন্সারের থেকে অনেক ছোট হয়। ইলেকট্রোলাইটিক কন্ডেনসার এ,সি,তে ব্যাবহৃত হয় না। কারণ যেহেতু এ,সি,তে কোন পজিটিভ বা নেগেটিভ পোলারিটি থাকে না, সেহেতু ইলেকট্রোলাইটিক কনডেন্সারের নেগেটিভ পোল, নেগেটিভ পোলারিটিতে লাগানো যায় না, ফলে কনডেন্সারের মধ্যে দিয়ে খুব দ্রুত কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকে এবং কন্ডেনসারটি তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়। ইলেকট্রোলাইটিক কনডেন্সারের গায়ে তার ভ্যালু এবং ভোল্টেজ লেখা থাকে এবং সেই সাথে পজিটিভ পোলের দিকে ( প্লাস ) ও নেগেটিভ পোলের দিকে ( মাইনাস ) চিহ্ন দেওয়া থাকে। এই ক্যাপাসিটারকে ইলেকট্রোলাইট ক্যাপাসিটর বলা হয় মূলত একটি কারণে, সেটি হল এই ক্যাপাসিটরের নেগেটিভ প্লেট হিসাবে ইলেকট্রোলাইট ব্যবহৃত হয়।সাধারণ বোরাক্স বা কার্বন সল্টিই এখানে ইলেকট্রোলাইট হিসাবে ব্যবহার করা হয়।ইলেকট্রোলাইট ক্যাপাসিটরের পজিটিভ প্লেটে এলুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়। খুব পাতলা এলুমিনিয়াম অক্সাইডের অপরিবাহী স্তর ডায়ালেকটিকের কাজ করে।পজিটিভ প্লেট বা অ্যানোডের গায়ে এই ডায়ালেকট্রিককে ইলেকট্রিক্যালি জমানো হয়। মধ্যবর্তি স্থানে ইলেকট্রোলাইট দেওয়া থাকে আর অপর দিক হয় নেগেটিভ প্লেট। পুরো প্লেট শুদ্ধ পাকিয়ে চোঙ্গাকৃতি করে ক্যাপাসিটর গঠিত হয়। ক্যাপাসিটর গুলির বাইরের প্রান্ত নেগেটিভ ও ভেতরের প্রান্ত পজেটিভ রূপে প্রকাশিত হয়। এগুলির মান বা ক্যাপাসিটেন্স খুব বেশি হয়। সাধারণতঃ 1MFD-র কম হয় না। এর ক্যাপাসিটেন্স এত বেশি হওয়ার কারণ এর ডাইলেকটিক স্তর খুবই পাতলা ভাবে গঠিত। সাধারণভাবে পুরো ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর কম বা বেশি ভোল্টেজ রেটিংয়ের প্লাস্টিক দিয়ে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়, শট সার্কিট প্রোটেকশনের জন্য। ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর প্রচুর পরিমাণে ব্যাবহৃত হয় বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই সার্কিটে, হাফ ওয়েভ ডি,সি,কে ফিল্টার ( Filter ) করতে বা স্মুথ 
( Smooth ) করতে বা এ,সি,র  রিপিল ( Ripple ) কে নষ্ট করতে। এছাড়াও কাপলিং ডিকাপলিং স্টেজ ফিল্টার ক্যাপাসিটরে একই সঙ্গে একাধিক ক্যাপাসিটরের কমবিনেশনের মাধ্যমে বেশি মানের ( ভ্যালুর ) ক্যাপাসিটর গঠিত হয়। আবার কখনো একটি ক্যাপাসিটরের মধ্যে আলাদা আলাদা দুটি তিনটি ক্যাপাসিটর থাকে কিন্তু এদের নেগেটিভ টারমিনাল একসঙ্গে কমন করা থাকে। ক্যাপাসিটরগুলির পজিটিভ ও নেগেটিভ পোল চিহ্নিত করা থাকে।
ইলেকট্রোলাইট ক্যাপাসিটরের লিকেজ কারেন্ট----  
 যদি ইলেকট্রোলাইট ক্যাপাসিটরের অক্সাইড ফিল্ম ভালোভাবে অন্তরিত ( Insulsted ) না হয় তবে ক্যাপাসিটরের মধ্যে দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়। একেই লিকেজ কারেন্ট বলে। 10 MF মান বিশিষ্ট এলুমিনিয়াম পাতের সাহায্যে প্রস্তুত ক্যাপাসিটরের লিকেজের মান হয় 5 মাইক্রো অ্যাম্পিয়ার। 
ইলেকট্রোলাইট ক্যাপাসিটরের প্রকার ভেদ----
১) সিঙ্গল ইউনিট ক্যাপাসিটর---- এই ক্যাপাসিটর গুলোর একটি মাত্রই ইউনিট থাকে অর্থাৎ ক্যাপাসিটরের একটিই মান থাকে।
২) মাল্টি ইউনিট ক্যাপাসিটর----  দু  তিনটে ক্যাপাসিটর এক সঙ্গে এই মাল্টি ইউনিট ক্যাপাসিটর গঠন করে। প্রয়োজনে কম বা বেশি মানের ক্যাপাসিটেন্স পাওয়া যায়। 
নন পোলারাইজড ইলেকট্রোলাইট ক্যাপাসিটর---- এই ধরনের ক্যাপাসিটরের কোন পোলারিটি অর্থাৎ নেগেটিভ বা পজেটিভ দিক থাকে না। যেহেতু A.C লাইনে একে ব্যবহার করা হয় তাই একে A.C Capacitor বলে। এই ক্যাপাসিটরে সাধারণত দুটো ইলেকট্রোলাইট ক্যাপাসিটর সিরিজে লাগানো হয়, যেখানে একটি ক্যাপাসিটরের প্রান্তের সঙ্গে একই পোলারিটির আর একটি প্রান্ত লাগানো হয়। এর ফলে এর ক্যাপাসিটেন্স অর্ধেক কমে যায় কিন্তু ওয়ার্কিং ভোল্টেজ দ্বিগুন হয়ে যায়।
সলিড এলুমিনিয়াম বা টেন্টালাম ক্যাপাসিটর---- এটি একটি বিশেষ ধরনের ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর। এই বিশেষ ক্যাপাসিটরটি অনেকগুলি ভিন্ন ধাতব পাতের সমন্বয়ে গঠিত। এর ক্যাথোড অংশটি রূপা, গ্রাফাইড ও ম্যাঙ্গানিজ-ডাই-অক্সাইড এই তিনটি পাতের সাহায্যে গঠিত। অ্যানোড অংশটি এলুমিনিয়াম বা টেন্টালাম দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। এই দুটি স্তরকে আলাদা করে ডাই-ইলেকট্রিক স্তরটি যা টেন্টালাম অক্সাইড দ্বারা প্রস্তুত হয়। এই ধরনের ক্যাপাসিটারের ক্ষমতা অনেক বেশি ও আকারেও ছোট।  
ভ্যারিয়েবল ক্যাপাসিটর---- যে সমস্ত ক্যাপাসিটরের মান বাইরে থেকে পরিবর্তন করা যায় তাকে ভ্যারিয়েবল ক্যাপাসিটর বলে। যেমন রেডিওতে ব্যবহৃত গ্যাং , ট্রিমার ইত্যাদি। 
ক্যাপাসিটরের কানেকশন
ক্যাপাসিটরের কানেকশন সাধারণত দুই ভাবে করা হয়ে থাকে। যথা সিরিজ কানেকশন এবং প্যারালাল কানেকশন ক্যাপাসিটরের সিরিজ এবং প্যারালাল কানেকশনের হিসাবটা সাধারণভাবে রেজিস্টেন্সের সিরিজ ও প্যারালাল কানেকশনের হিসাবের উল্টোটা হয়। অর্থাৎ ক্যাপাসিটরের সিরিজ কানেকশনের ক্ষেত্রে ক্যাপাসিটরের মান কমে যায় এবং প্যারালাল কানেকশনের ক্ষেত্রে ক্যাপাসিটরের মান বেড়ে যায়। 
সিরিজ কানেকশন রেজিস্টেন্সের মতই ক্যাপাসিটরের সিরিজ কানেকশন করতে হয়। তবে ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরের কানেকশনটা একটু অন্যরকম হয়। কেননা ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরগুলির পজেটিভ ও নেগেটিভ দুটি দিক থাকে। তাই এই ক্যাপাসিটরের সিরিজ কানেকশন করতে হবে এই ভাবে, প্রথমে একটি ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর নেওয়া হল এবং তার যে কোন একটি লিডকে নির্দিষ্ট করে নেওয়া হল। ধরা যাক এই নির্দিষ্ট লিডটি নেগেটিভ লিডের সাথে যুক্ত করা হল। এইবারে পরপর ক্যাপাসিটর যুক্ত করে সিরিজ কানেকশন করতে হবে। ননইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরের যেহেতু কোন নেগেটিভ পজেটিভ লিড নির্দিষ্ট থাকে না সেহেতু এর ক্ষেত্রে একটির সাথে আর একটি যুক্ত করে রেজিস্টেন্সের মতো সিরিজ কানেকশন করতে হবে। সিরিজ কানেকশনে ক্যাপাসিটরের মোট মান নির্ণয় করা হয় এই সুত্রের সাহায্যে---- 1/c = 1/c1 +1/c2+1/c3 
এখানে একটি উদাহরণ দেওয়া হল---
C = ক্যাপাসিটর  c1=50mfd/10, c2=50mfd/25
1/c=1/50 + 1/50
or 1/c= ( 1+1 )50
or 1/c= 2/50
or 1/c = 1/25
or c = 25mfd 
ক্যাপাসিটরের সিরিজ কানেকশনের ক্ষেত্রে ভোল্টেজ গুলি যোগ করে নিতে হয়। অতএব এখানে ভোল্টেজ হল 10V+25V = 35 V তাহলে সিরিজ কানেকশনের ফলে ক্যাপাসিটরের মান দাঁড়ালো  25mfd/35V.
প্যারালাল কানেকশন দুই বা ততোধিক ক্যাপাসিটারকে প্যারালাল পরস্পর যুক্ত করে রেজিস্টেন্সের প্যারালাল কানেকশনের মতই ক্যাপাসিটরের প্যারালাল কানেকশন করা হয়। তবে ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরের ক্ষেত্রে ক্যাপাসিটরগুলি প্যারালালে যুক্ত করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সব ক্যাপাসিটরের পজেটিভ লিড গুলি একদিকে এবং নেগেটিভ লিডগুলি অন্যদিকে থাকে। ক্যাপাসিটর গুলির মোট মান বের করা হয় এই সূত্রে c = c1+c2+c3
c1 = 10mfd/10V, c2 = 100mfd/25V, c3 = 40mfd/10V
c = 10+100+40+ = 150mfd/10V
সাধারণত সিরিজ বা প্যারালাল কানেকশনের ক্ষেত্রে দুটির বেশি ক্যাপাসিটরের কানেকশন প্রয়োজন হয়। প্যারালাল কানেকশনের ক্ষেত্রে সব কটি ক্যাপাসিটরের মধ্যে যে ক্যাপাসিটরের ভোল্টেজ সব থেকে কম হবে তার ভোল্টেজটাই ক্যাপাসিটরের ভ্যালুর পর বসাতে হবে।
ক্যাপাসিটরের মান নির্ণয় ও কালার কোডের ভূমিকা
নন ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর গুলি আকারে ছোট হওয়ার জন্য তাদের গায়ে ভ্যালু , ভোল্টেজ , টলারেন্স ,টেম্পারেচার প্রভৃতি লেখা থাকে না। সেক্ষেত্রে তাদের গায়ে কিছু কালার এর রিং দেওয়া থাকে। এই কালার রিং থেকেই তাদের ভ্যালু , ভোল্টেজ , টলারেন্স , টেম্পারেচার প্রভৃতি নির্ণয় করতে হয়। রেজিস্টেন্সের কালার কোডের সাহায্যেই ক্যাপাসিটরের ওই সব ভ্যালু বার করা হয়। এই সব ক্যাপাসিটরের ভ্যালু এবং ভোল্টেজ এদের গায়েই লেখা থাকে আবার কখনওবা কালার কোডের সাহায্যে এদের ভ্যালু নির্ণয় করে নিতে হয়। সাধারণত এই ক্যাপাসিটরের ভ্যালু 10pf হইতে 100kpf পর্যন্ত এবং ভোল্টেজ 100 ভোল্ট হইতে 600 ভোল্ট পর্যন্ত হয়। এক একটি ক্যাপাসিটরে 4 টি থেকে 6 টি কালার রিং দেওয়া থাকে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি কালার রিং-এর সাহায্যে ক্যাপাসিটরের ভ্যালু , চতুর্থ কালার রিং টির সাহায্যে ভোল্টেজ ,পঞ্চম কালার রিং টির সাহায্যে তার টলারেন্স এবং ষষ্ঠ কালার রিং টির সাহায্যে টেম্পারেচার নির্ণয় করা হয়। কালার কোডের সাহায্যে যেভাবে রেজিস্টেন্সের ভ্যালু নির্ণয় করা হয়েছে ঠিক সেই ভাবেই ক্যাপাসিটরের প্রথম তিনটি কালার রিং এর সাহায্যে ক্যাপাসিটরের ভ্যালু নির্ণয় করা হয়। কালার রিং গুলি গণনা করতে হবে ক্যাপাসিটরের যে দিকে লিড গুলি থাকে ঠিক তার বিপরীত দিক থেকে। চতুর্থ কালার হিসাবে সাধারণত কালো ,বাদামী ,লাল ,সবুজ এবং সাদা এই কটি কালার ব্যবহার করা হয়। কালো রং এরজন্য ± 20%, বাদামী রং এর জন্য ± 1%, লাল রং এর জন্য ± 2%, সবুজ রং এর জন্য ± 5%, সাদা রং এর জন্য ± 10% টলারেন্স হিসাবে ধরা হয়। পঞ্চম রং হিসাবে লাল , হলুদ , এবং নীল রং ব্যবহার করা হয়। বাদামী রং এর জন্য 100 ভোল্ট ডি,সি, লাল রং এর জন্য 250 ভোল্ট ডি,সি, হলুদ রং এর জন্য 400 ভোল্ট ডি,সি, এবং নীল রং এর জন্য 630 ভোল্ট ডি,সি হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। আর ষষ্ঠ রং হিসাবে কালো কমলা এবং বেগুনী রং ব্যবহার করা হয়।
Color Band     Temperature       First      Second      Multiplier          Tolerance on     Capacitance
                          Co-effecient        Digit      Digit         Capacitance        C ≤ 10PF              C > 10PF
Red/Violet            P100                     -             -                    -
Black                    NP0                      -             -                    1                                                      ± 20
Brown                  N033                    1             -                    10                        ± 0.1                    ± 1
Red                      N075                    2             -                                                ± 0.25                  ± 2
Orange                 N150                   3             3                                               
Yellow                 N220                   4             4                                                      
Green                   N330                   5             5                      -                         ± 0.5                    ± 5
Blue                     N470                   6              6                     -   
Violet                   N750                   7              7                     -   
Grey                        -                        8              8                    -   
White                      -                        9              9                    -                          ± 1                       ± 10≤  

ক্যাপাসিটরের চেকিং পদ্ধতি 
নন ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর গুলি চেক করার সময় মিটারের লাল প্রডটি 10K or 1M রেঞ্জে এবং কালো প্রডটি কমন রেঞ্জে রেখে ক্যাপাসিটরের দুইটি লিডের সাথে মিটারের লাল এবং কালো প্রড দুটিকে 
( যে দিক খুশি লাগানো যেতে পারে ) লাগালে মিটারে যদি কোন রিডিং না পাওয়া যায় তাহলে ক্যাপাসিটর ঠিক আছে , আর যদি রিডিং শো করে তাহলে ক্যাপাসিটরটি শর্ট হয়ে গেছে।
ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরের চেকিং পদ্ধতি একটু অন্যরকম। যেহেতু ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরের পজেটিভ ও নেগেটিভ পোল হয় , সেহেতু মিটারের কালো এবং লাল প্রড দুটিকে যথাক্রমে কমন রেঞ্জে ও 10K or 1M রেঞ্জে রেখে ক্যাপাসিটরের পজেটিভ পোলের সাথে মিটারের কালো প্রডটি এবং নেগেটিভ পোলের সাথে লাল প্রডটি যুক্ত করা হলে প্রথমে মিটারের কাঁটাটি ডান দিকে কিছুটা খুব দ্রুত বেগে সরে যাবে ( শো করবে  ) এবং তার পরক্ষনেই আস্তে আস্তে পুনরায় আগের স্থানে কাঁটাটি ফিরে আসবে , এ থেকে বোঝা যায় কাপাসিটরটি ঠিক আছে। যদি মিটারের কাঁটা পুনরায় আগের স্থানে ফিরে না আসে বা মিটারে কোন রিডিং না পাওয়া যায় বা খুব কম রিডিং পাওয়া যায় , তাহলে ক্যাপাসিটরটি শর্ট বা লিকেজ বা ওপেন হয়ে গেছে বুঝতে হবে। ক্যাপাসিটরটি যদি পুনরায় চেক করার প্রয়োজন হয় তাহলে ক্যাপাসিটরের পজেটিভ ও নেগেটিভ পোল দুটিকে এক সাথে যুক্ত করে ডিসচার্জ করে দিয়ে পুনরায় আগের মত চেক করতে হবে।        

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.