How do microphones work. বিভিন্ন মাইক্রোফোনের ধরন এবং তাদের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মাইক্রোফোন
২) ডায়ানামিক বা মুভিং কয়েল মাইক্রোফোন -- এই মাইক্রোফোনের সেনসিটিভিটি খুব বেশি এবং ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স খুব ভালো। মাইক্রোফোনটির সামনের দিকে থাকে একটা পর্দা। আর পিছনের দিকে থাকে স্থায়ী ( পার্মানেন্ট ) চুম্বকের দ্বারা সৃষ্ট প্রকৃত শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র । ডায়াফ্রামের পিছন দিকে সরু তামার কয়েল লাগানো থাকে যার অবশিষ্ট অংশ থাকে চৌম্বক ক্ষেত্রে ( ম্যাগনেটিক ফিল্ড ) এর মধ্যে। চুম্বকটির কিছুটা বিশেষত্ব আছে। এর মাঝখানে থাকে নর্থ পোল ( উত্তর মেরু ) আর দুধারে থাকে সাউথ পোল ( দক্ষিণ মেরু ) যখন কোন শব্দ মাইক্রোফোনের সামনে সৃষ্টি করা হয় ,তখন ডায়াফ্রাম কাঁপতে শুরু করে সঙ্গে সঙ্গে তামার তারের কয়েলটি চুম্বকক্ষেত্রের মধ্যেই কাঁপতে থাকে। ফলে শব্দ অনুযায়ী হুবহু বৈদ্যুতিক তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। যা কোন এমপ্লিফায়ারে প্রয়োগ করে আরও জোরালো করে নেওয়া সম্ভব।
৩) কনডেন্সার মাইক্রোফোন --- এই ধরনের মাইক্রোফোন এর বহূল প্রচলন ,মোবাইল ফোনে দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো আকৃতিতে খুবই ছোট, এখনকার দিনে মোবাইল ফোনের মধ্যেই এটি ফিট করা থাকে। এর সেনসিটিভিটি বা সংবেদনশীলতা খুব বেশি। অনেকটা দূরের শব্দ এটি সুন্দর ভাবে গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। গঠন গত দিক থেকে এই মাইক্রোফোন ঠিক যেন একটা কনডেন্সার। দুটি ধাতব পাত এবং মাঝখানে থাকে কিছুটা বাতাস। ধাতব পাত সামনে বা পিছনে সরতে পারে। আর বাতাস ইনসুলেটিং /ডাই ইলেকট্রিকের কাজ করে। মাইক্রোফোনের একদম সামনের দিকে একটি কালো কাপড়ের আবরণ (Screen) থাকে। এটি মাইক্রোফোনের মধ্যে ধুলো ময়লা ঢুকতে দেয় না। প্রথম ধাতব প্লেট বা পাতটিকে ডায়াফ্রাম বলা হয়। এই পাতটি ভীষণ নরম এবং শব্দ অনুযায়ী এটি কাঁপতে থাকে। কিন্তু পেছনের পাতটি খাঁজকাটা ও শক্ত। যার জন্য প্রথম পাতটির নড়াচাড়ায় মধ্যেকার এয়ার গ্যাপ এর তারতম্য ঘটে। যার জন্য এর ক্যাপাসিটিরও পরিবর্তন ঘটে। মাইক্রোফোনটাকে সক্রিয় রাখার জন্য ডি.সি ভোল্টেজ ( বায়াস ) প্রয়োগ করা হয়। শব্দ তরঙ্গ অনুযায়ী কনডেন্সারের চার্জ ও ডিসচার্জের পরিবর্তনকে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ হিসাবে পাওয়া যায়।
৪) পিয়াজো কৃষ্টাল মাইক্রোফোন -- এই ধরণের মাইক্রোফোনে ভিতরের দিকে ,সামনে ও পিছনে থাকে ধাতব পাত। এই পাত দ্বয়ের মাঝখানে থাকে কৃষ্টাল। কৃষ্টাল থেকে একটা পিনের দ্বারা সামনের দিকে একটা পর্দা বা ডায়াফ্রাম লাগানো থাকে। যখন কোন শব্দতরঙ্গের আঘাতে ডায়াফ্রাম বা পর্দা কাঁপতে শুরু করে তখন ডায়াফ্রামের সঙ্গে যুক্ত পিনের দরজা কৃষ্টালের উপর এসে পড়ে। এর জন্য প্লেট দুটোর মধ্যে পরিবর্তিত ভোল্টেজ পাওয়া যায়। যা শব্দ তরঙ্গের প্রতিরুপ। তবে এই মাইক্রোফোন এমনিতে বেশ ভালো কিন্তু এটি গরম আবহাওয়ায় ভালো কাজ করতে সক্ষম হয় না। এই মাইক্রোফোন চালু রাখার জন্য ব্যাটারি বা ট্রান্সফর্মারের প্রয়োজন হয় না।
৫) রিবন মাইক্রোফোন --- এই মাইক্রোফোন বাতাসের গতির উপর কাজ করে। এটাকে মুভিং কয়েল মাইক্রোফোনও বলা যায়। মুভিং কয়েল রিবনটাকে এমনই বিশেষভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয় যে এটি শব্দ তরঙ্গের ধাক্কায় সহজে কাঁপতে পারে। আর এই রিবনটা থাকে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে থাকে ফলে এর মধ্যে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ উৎপন্ন হয়। এই মাইক্রোফোনে খুব ক্ষীণ ইনডিউস্ড emf পাওয়া যায়, যার জন্য ষ্টেপ আপ ট্রান্সফরমারের সাহায্যে ভোল্টেজকে বাড়িয়ে নেওয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই