Header Ads

Header ADS

How do microphones work. বিভিন্ন মাইক্রোফোনের ধরন এবং তাদের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

 মাইক্রোফোন


সাউন্ড রেকর্ডিং করার জন্য কিংবা কোন বক্তা বা গায়কের কথাবার্তা বা গানকে এমপ্লিফায়ারের সাহায্যে জোরালো করবার জন্য মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়। শব্দশক্তিকে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল বা বৈদ্যুতিক শক্তিতে পরিণত করার জন্য মাইক্রোফোন ব্যবহৃত হয়। এমপ্লিফায়ারের ইনপুটের প্রথম অবস্থানে  থাকে মাইক্রোফোন। মাইক্রোফোনের সামনে কোনও প্রকারের শব্দ , গান , বাজনা কথাবার্তা বা যে কোন আওয়াজ করলে শব্দের উৎপত্তি হয় আর সেই কম্পিত বাতাস মাইক্রোফোনের পর্দায় এসে ধাক্কা মারে। যেরকম শব্দ সৃষ্টি করা হবে মাইক্রোফোনের পর্দা বা ডায়াফ্রেম সেই অনুপাতে কাঁপতে থাকবে। মাইক্রোফোনের ভেতরে এই শব্দ অনুযায়ী ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল তৈরী হয়। 
( ইনডিউসড emf ) মাইক্রোফোন বহু ধরনের ও বহু কোয়ালিটির হয়।
 এর মধ্যে মাইক্রোফোনের  দুটি ব্যাপার মনে রাখা উচিৎ ---
১) মাইক্রোফোনের সেনসিটিভিটি
২) মাইক্রোফোনের ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স। 
মাইক্রোফোনের সেনসিটিভিটি বলতে বোঝায় মাইক্রোফোন কত দুর্বল শব্দকে গ্রহণ করে নিতে পারবে তা। 
মানুষের কান 20 Hz থেকে 20,000 Hz অবধি সমস্ত ফ্রিকোয়েন্সির কম্পনে সংবেদন পায়। অর্থাৎ এই ফ্রিকোয়েন্সির রেঞ্জের মধ্যে সব কিছু কান শুনতে পায়। যা একটা মাইক্রোফোন কত হার্জ থেকে কত হার্জ  অবধি ফ্রিকোয়েন্সি ভালভাবে গ্রহণ করতে পারবে তা মাইক্রোফোনের ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স দ্বারা বোঝানো হয়।

মাইক্রোফোন বহু ধরনের হয়, যেমন 
১) কার্বন মাইক্রোফোন 
২) ডায়ানামিক মাইক্রোফোন 
৩) কনডেনসার মাইক্রোফোন 
৪) পিয়াজো ক্রিষ্টাল মাইক্রোফোন 
৫) রিবন মাইক্রোফোন 

১) কার্বন মাইক্রোফোন --- এই মাইক্রোফোন এর সামনে দিকে থাকে একটা পর্দা বা ডায়াফ্রাম থাকে। পর্দার পরেই থাকে কিছু কার্বোনকোনা , এর পর থাকে একটা কার্বন ব্লক। যখন মাইক্রোফোনের সামনে কথা বলা হয় তখন ডায়াফ্রামটি শব্দ অনুযায়ী কাঁপতে থাকে ঠিক তখন কার্বনকণাগুলির উপর বিভিন্ন রকম চাপ পড়তে থাকে কার্বনকণাগুলির ওপর চাপ বেশি পড়লে রোধ কমে যায়। আবার চাপ কমে গেলে এর রোধ বেড়ে যায়। অর্থাৎ চাপের তারতম্যে কার্বনের রোধের তারতম্য ঘটে। এই জন্য এর দ্বারা শব্দ অনুযায়ী হুবহু ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল তৈরি করা যায়। 

২) ডায়ানামিক বা মুভিং কয়েল মাইক্রোফোন -- এই মাইক্রোফোনের সেনসিটিভিটি খুব বেশি এবং ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স খুব ভালো। মাইক্রোফোনটির সামনের দিকে থাকে একটা পর্দা। আর পিছনের দিকে থাকে স্থায়ী ( পার্মানেন্ট ) চুম্বকের দ্বারা সৃষ্ট প্রকৃত শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র ।   ডায়াফ্রামের পিছন দিকে সরু তামার কয়েল লাগানো থাকে যার অবশিষ্ট অংশ থাকে চৌম্বক ক্ষেত্রে ( ম্যাগনেটিক ফিল্ড ) এর মধ্যে। চুম্বকটির কিছুটা বিশেষত্ব আছে। এর মাঝখানে থাকে নর্থ পোল ( উত্তর মেরু ) আর দুধারে থাকে সাউথ পোল ( দক্ষিণ মেরু ) যখন কোন শব্দ মাইক্রোফোনের সামনে সৃষ্টি করা হয় ,তখন ডায়াফ্রাম  কাঁপতে শুরু করে সঙ্গে সঙ্গে তামার তারের কয়েলটি চুম্বকক্ষেত্রের মধ্যেই কাঁপতে থাকে। ফলে শব্দ অনুযায়ী হুবহু বৈদ্যুতিক  তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। যা কোন এমপ্লিফায়ারে প্রয়োগ করে আরও জোরালো করে  নেওয়া সম্ভব। 

৩) কনডেন্সার মাইক্রোফোন --- এই ধরনের মাইক্রোফোন এর বহূল প্রচলন ,মোবাইল ফোনে   দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো আকৃতিতে খুবই ছোট, এখনকার দিনে মোবাইল ফোনের  মধ্যেই এটি  ফিট করা থাকে। এর সেনসিটিভিটি বা সংবেদনশীলতা খুব বেশি। অনেকটা  দূরের শব্দ এটি সুন্দর ভাবে গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। গঠন গত  দিক থেকে এই মাইক্রোফোন ঠিক যেন একটা কনডেন্সার। দুটি ধাতব পাত  এবং মাঝখানে থাকে কিছুটা বাতাস। ধাতব পাত সামনে বা পিছনে সরতে পারে। আর বাতাস ইনসুলেটিং /ডাই ইলেকট্রিকের কাজ করে। মাইক্রোফোনের একদম সামনের দিকে একটি কালো কাপড়ের আবরণ (Screen) থাকে। এটি মাইক্রোফোনের মধ্যে ধুলো ময়লা ঢুকতে দেয় না। প্রথম ধাতব প্লেট বা পাতটিকে ডায়াফ্রাম  বলা হয়। এই পাতটি ভীষণ নরম এবং শব্দ অনুযায়ী এটি কাঁপতে থাকে। কিন্তু পেছনের পাতটি খাঁজকাটা ও শক্ত। যার জন্য প্রথম পাতটির নড়াচাড়ায়  মধ্যেকার এয়ার গ্যাপ  এর তারতম্য ঘটে। যার জন্য এর ক্যাপাসিটিরও পরিবর্তন ঘটে। মাইক্রোফোনটাকে সক্রিয় রাখার জন্য ডি.সি ভোল্টেজ ( বায়াস ) প্রয়োগ করা হয়। শব্দ তরঙ্গ অনুযায়ী কনডেন্সারের চার্জ ও ডিসচার্জের পরিবর্তনকে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ হিসাবে পাওয়া যায়। 

৪) পিয়াজো কৃষ্টাল মাইক্রোফোন -- এই ধরণের মাইক্রোফোনে ভিতরের দিকে ,সামনে ও পিছনে থাকে ধাতব পাত।  এই পাত দ্বয়ের মাঝখানে থাকে কৃষ্টাল। কৃষ্টাল থেকে একটা পিনের দ্বারা সামনের দিকে একটা পর্দা বা ডায়াফ্রাম লাগানো থাকে। যখন কোন শব্দতরঙ্গের আঘাতে ডায়াফ্রাম বা পর্দা কাঁপতে শুরু করে তখন ডায়াফ্রামের সঙ্গে যুক্ত পিনের দরজা কৃষ্টালের উপর  এসে পড়ে। এর জন্য প্লেট দুটোর মধ্যে পরিবর্তিত ভোল্টেজ পাওয়া যায়।  যা শব্দ তরঙ্গের প্রতিরুপ। তবে এই মাইক্রোফোন এমনিতে বেশ ভালো কিন্তু এটি গরম আবহাওয়ায় ভালো কাজ করতে সক্ষম হয় না। এই মাইক্রোফোন চালু রাখার জন্য ব্যাটারি বা ট্রান্সফর্মারের প্রয়োজন হয় না। 

৫) রিবন  মাইক্রোফোন --- এই মাইক্রোফোন বাতাসের গতির উপর কাজ করে। এটাকে মুভিং কয়েল মাইক্রোফোনও বলা যায়। মুভিং কয়েল রিবনটাকে এমনই বিশেষভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয় যে এটি শব্দ তরঙ্গের ধাক্কায় সহজে কাঁপতে পারে। আর এই রিবনটা থাকে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে থাকে ফলে এর মধ্যে বৈদ্যুতিক  তরঙ্গ উৎপন্ন হয়। এই মাইক্রোফোনে খুব ক্ষীণ ইনডিউস্ড emf পাওয়া যায়, যার জন্য ষ্টেপ আপ ট্রান্সফরমারের সাহায্যে ভোল্টেজকে বাড়িয়ে নেওয়া হয়। 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.