How loud speakers work. লাউড স্পিকার কিভাবে কাজ করে।
লাউড স্পিকার
রেডিও, টি,ভি, টেপ, রেকর্ডপ্লেয়ার,অ্যামপ্লিফায়ার, প্রভৃতি বহু ইলেকট্রনিক যন্ত্রে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা হয়। লাউড স্পিকার বৈদ্যুতিক শক্তিকে শব্দ শক্তিতে পরিণত করে। জোরালো অডিও সিগন্যাল যা সম্পূর্ণ কথা বার্তা বা গান বাজনার অনুরুপ সিগন্যাল তা স্পিকারের কয়েলে এসে, স্পিকারের পর্দা বা কোন কে কাঁপিয়ে শব্দ সৃষ্টি করে। কথাবার্তা বা গান বাজনার ( শ্রবণযোগ্য তরঙ্গের ) দুর্বল সিগন্যাল অডিও, অ্যামপ্লিফায়ার দ্বারা শক্তিশালী বৈদ্যুতিক তরঙ্গে পরিণত হয়ে স্পিকারের কয়েলে যায়। স্পিকার এই বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে পরিণত করে। একটি স্পিকার এর কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ অংশ থাকে। যেমন কয়েল, ম্যাগনেট, কোন , ডায়াফ্রাম,কয়েল ফর্মার, স্পাইডার বা সাসপেনশন এবং ফ্রেম।
ভয়েস কয়েল (voice coil) তৈরী হয় ভালো তামার তারকে কাগজ বা প্লাষ্টিক ফর্মারে জড়িয়ে। এই কয়েলের বিভিন্ন ধরনের এ.সি. রোধ থাকতে পারে এবং এটা কি ধরনের স্পিকার তার ওপর নির্ভর করে। ভয়েস কয়েলে জড়ানো ফর্মারটা যুক্ত থাকে কোন পর্দার সঙ্গে।
কোন-(cone) একপ্রকার শক্ত কাগজের দ্বারা তৈরী হয়। শব্দ সৃষ্টি হওয়ার সময়ে কোনটা সামনে পেছনে কাঁপতে থাকে। কোন যাতে খুব ভালোভাবে সামনে পেছনে যাতায়াত করতে পারে তার জন্য কোনটা খাঁজ কাটা বা ভাঁজ করা ধরনের হয়। কোন নড়াচাড়া করার সময়ে কতটা সামনের দিকে এগিয়ে আসবে কতটা পেছনের দিকে পিছিয়ে যাবে তা নির্ভর করে ভয়েস কয়েলে কি রকম এমপ্লিচুডের ও ওয়েভফর্মের বিদ্যুৎ তরঙ্গ আসছে তার ওপর। ফর্মারে জড়ানো কয়েলটাকে চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যেকার ফাঁকে ভালোভাবে রাখার জন্য সাসপেনশন ( স্পাইডার ) ব্যবহার করা হয়। স্পাইডারটিতে খুব ভালো কয়েকটা ভাঁজ থাকে। যাতে কয়েলটা ভালভাবে নড়াচড়া করতে পারে, অথচ চুম্বকের সঙ্গে ঘসা খাওয়ার সুযোগ থাকে না। যখন ভয়েস কয়েলে কোন বিদ্যুৎশক্তি আসে না তখন সাসপেনশন কয়েলটাকে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে আসে। এটা একটা ভালো স্প্রিং এর মতো কাজ করে। কোন এবং স্পাইডার স্পিকার এর ফ্রেমের সঙ্গে যুক্ত থাকে। বিশেষ ধরনের কিছু স্পিকার বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উফার, ট্যুইটার, মিডরেঞ্জ ইত্যাদি। সাধারণ স্পিকার রেডিও, টেপরেকর্ডার, টেলিভিশন ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। ভাল স্টিরিও এমপ্লিফায়ার বা সাউন্ড সিস্টেমে বিশেষ ধরনের স্পিকার ব্যবহৃত হয়। এই স্পিকারগুলো নির্দিষ্ট ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে। ভালো কোম্পানীর স্পিকার কত ফ্রিকোয়েন্সি থেকে কত ফ্রিকোয়েন্সি অবধি আউটপুট দিতে পারবে তা স্পিকারের স্পেসিফিকেশন এ উল্লেখ করা থাকে। কিন্তু বিশেষ 'ফুল রেঞ্জ' স্পিকার আছে যেগুলো লো ও হাই ফ্রিকোয়েন্সিতে ভালো ভাবে কাজ করে। তবে প্রধানত, উফার থেকে লো ফ্রিকুয়েন্সি যেমন - বেস গিটার, বিগ ড্রাম ইত্যাদির শব্দ ভালো পাওয়া যায়। 'মিড্ রেঞ্জ' থেকে সাধারণত :মানুষের গলা ও মিডিয়াম ফ্রিকোয়েন্সির সমস্ত শব্দ ভালো পাওয়া যায় আর 'ট্যুইটার' থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সি, পারকাসন ও তীক্ষ্ন শব্দ ভালো পাওয়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই