Photo Electricity. আলোক তড়িৎ ক্রিয়া।
ফটো ইলেকট্রিসিটি
আজকাল বাজারে বহু ধরনের ফটো ট্রানজিষ্টর ,ফটো ডারলিংটন ,ফটো ডায়োড , অপটোকাপলার , ফটো ভোল্টায়িক সেল পাওয়া যায়। এই ধরনের কম্পোনেন্ট গুলোর ব্যবহারও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। স্পেস রিসার্চে ফটো ভোল্টায়িক সেলকে বিশেষভাবে কাজে লাগানো হয়ে থাকে। স্যাটেলাইট এর পাওয়ার সাপ্লাই এই ধরনের ফটো সেল থেকে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বাগলার এলার্ম ,কাউন্টার , স্মোক ডিটেকশন ফটো সেল ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের সেল বা কোষগুলো আলোকে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে পরিণত করে। ঠিক এভাবে না বলে আলোর প্রতি একে সংবেদনশীলও বলা যায়। এই সেল ইনফ্রা রেড ( অতি লোহিত ) আলট্রা ভায়োলেট রশ্মিতেও সংবেদনশীল। ফটো সেল কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
১) ফটো এমিসিভ ( Photo Emissive )
২) ফটো কন্ডাকটিভ ( Photo Conductive )
৩) ফটো ভোল্টায়িক ( Photo Voltaic )
১) ফটো এমিসিভ--- কিছু কিছু ধাতু বা ধাতব পদার্থ আছে যাদের উপর আলো এসে পড়লে তা থেকে ইলেকট্রন নির্গত হয়। এই ধাতু গুলো হলো ক্যালসিয়াম , সোডিয়াম , রুবিডিয়াম। এর এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হলো ফটো মাল্টিপ্লায়ার টিউবে। এই টিউব আসলে এক প্রকার ফটো এমিসিভ সেল। এই টিউবে অবস্থিত ক্যাথোডের উপর আলোকরশ্মি পড়লে ইলেকট্রন নির্গত হয়। টিউবের অভ্যন্তরে অনেকগুলো অ্যানোড থাকে এগুলোকে ডায়ানোড বলে। আসলে এই টিউবে ইলেকট্রনের Multiplication হয় সেইজন্য এগুলোকে ফটো মাল্টিপ্লায়ার বলা হয়। যাই হোক এই ডায়ানোডের প্রত্যেকটিতে তার আগের ডায়ানোডের তুলনায় কিছুটা বেশি ভোল্টেজ থাকে। প্রথম যখন ক্যাথোড থেকে ইলেকট্রন প্রথম ডায়ানোডের এর উপর আঘাত করে , তখন ডায়ানোডটি কোটেড থাকার জন্য সেকেন্ডারী ইলেকট্রন নির্গত হয়। আবার এই ইলেকট্রনগুলো বেশি বিভব এ থাকা পরের ডায়ানোডটিকে আঘাত করে এবং সেকেন্ডারী ইলেকট্রন তৈরি করে। এরকম ভাবে যদি একটা টিউবে অনেকগুলো ডায়ানোড থাকে ( প্রায় দশটি ) তাহলে প্রচুর মাল্টিপ্লিকেশন হবে।
২) ফটো কন্ডাকটিভ সেল--- কিছু পরিবাহী ধাতব পদার্থ আছে যার উপর আলো পড়লে তাদের রোধ কমে যায়। এই ধরণের কয়েকটা ধাতু হলো সেলেনিয়াম , ক্যাডমিয়াম সালফাইড , ইন্ডিয়াম অ্যান্টিমোনাইড ইত্যাদি। এই পদার্থ গুলোর বৈশিষ্ট হলো , এতে আলো পড়লে কিছু ইলেকট্রন তাদের নির্দিষ্ট অ্যাটম থেকে মুক্ত হয়ে পরিবাহীতায় সাহায্য করে। এর জন্য পদার্থটির রোধ কমে যায়। এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে L.D.R ( Light Dependent Resister ) তৈরি করা হয়েছে।
৩) ফটো ভোল্টায়িক সেল--- এই ধরণের সেলগুলোর ওপর আলো পড়লে এর দুটি টার্মিনালের মধ্যে বিভব প্রভেদ এর সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাটিকে ফটো ভোল্টায়িক এফেক্ট বলা হয়। এগুলো অর্ধপরিবাহী দিয়ে তৈরি করা হয়। দুটো অর্ধপরিবাহীর জাংশন এ পোটেনশিয়াল ব্যারিয়ার এর সৃষ্টি হয়। সেলেনিয়াম , সিলিকন দ্বারা আগে এই সেল তৈরি হতো। কিন্তু এখন ক্যাডমিয়াম সালফাইড , গ্যালিয়াম আর্সেনাইড দিয়ে এই সেল তৈরি হচ্ছে। ফটো ভোল্টায়িক ডিভাইসের উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হলো ফটো ডায়োড ও ফটো ট্রানজিষ্টর।
কোন মন্তব্য নেই